অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিল সৌদি আরব
সৌদি আরবের বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত যেসব কর্মীদের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির অভিযোগ আছে তাদের তথ্য হালনাগাদ করছে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে এ হালনাগাদ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
সকল পক্ষের চুক্তিভিত্তিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সৌদিআরবের শ্রম বাজারের আকর্ষণ এবং নমনীয়তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এসব তথ্য হালনাগাদ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সৌদি মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্য মতে এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের আলোকে এই হালনাগাদ কর্মসূচিতে বিদেশি শ্রমিকগণ বেশকিছু সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
তথ্য হালনাগাদের ফলে যে সকল কর্মী তার নিয়োগকর্তার কাজে অনুপস্থিত আছেন তাদের ব্যাপারে তাদের নিয়োগকর্তা লেবার অফিসের ওয়েবসাইট মারফত চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আবেদন দিবেন। এতে করে নিয়োগকর্তা ঐ কর্মীর প্রতি সকল দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত হবেন। এরপর থেকে বর্তমান নিয়োগকর্তা এই কর্মীর কোনো ফি বহন করতে হবে না।
নিয়োগকর্তা চুক্তি ছিন্ন করার আবেদন করার পর বিদেশি কর্মীরা ৬০ দিনের মধ্যে, অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ট্রান্সফার হওয়ার বা ফাইনাল একজিট ভিসায় নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পাবেন।
কোনো প্রবাসী কর্মী এই দুটি বিকল্পের একটি গ্রহণ না করেই ৬০ দিন উত্তীর্ণ করলে তার স্ট্যাটাস লেবার অফিসের ডাটাবেজে অনুপস্থিত দেখাবে।
এই সুযোগ চালু হওয়ার পূর্বপর্যন্ত যেসব কর্মী অনুপস্থিত হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন তারা ইচ্ছে করলে নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে ট্রান্সফার হতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সকল বকেয়া ফি নতুন নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে।
নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে ট্রান্সফার আবেদন করলে শ্রম অফিস তা অনুমোদন করবে। শ্রম অফিসের অনুমোদনের ১৫ দিনের মধ্যে ট্রান্সফার প্রসেস সম্পন্ন অবশ্যই করতে হবে। সম্পন্ন না করলে তার স্ট্যাটাস অনুপস্থিত থাকবে।
তবে গৃহকর্মী, হাউজ ড্রাইভার, দারোয়ান ইত্যাদি এই সুযোগের আওতায় পড়বে না। একই ভাবে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদের সার্ভিস স্টপ করা আছে তারা এই সুযোগ নিতে পারবেন না।
সৌদি সরকার কর্তৃক ঘোষিত এই সুযোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে অবস্থানরত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মী উপকৃত হবেন মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।