তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, খুলে দেওয়া হলো জলকপাট
ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ কারণে ব্যারাজের সব (৪৪) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে বন্যার শঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তিস্তার চরে কয়েক হাজার একর জমির আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নিমজ্জিত হয়েছে আরো অনেকে এলাকায় জমির ফসল।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রাম।
জানা গেছে, দুদিন ধরে উজানের পানি ও ভারি বর্ষণের কারণে আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার লকীটারি ইউনিয়নের ইচলি চরের আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
তিস্তা চরের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, নদীর পানিতে ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। কাঁচা ধান কিভাবে কাটব তা নিয়ে দুচিন্তায় আছি। দ্রুত পানি না নামলে খেলে অনেক ক্ষতি হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে চর এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবারও বন্যা দেখা দিলে তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার একর ধানক্ষেত নষ্ট হতে পারে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, বুধবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।