দেশে করোনা টিকার ১ম ও ২য় ডোজ মিলবে আর মাত্র চার মাস। আগামী নভেম্বরের পর আর কাউকে এই দুই ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। কারণ দেশে মজুত থাকা টিকার মেয়াদ ওই সময়ে শেষ হয়ে যাবে। এরপর থেকে শুধু বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা দেবে সরকার। আর টিকা পাবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুরা।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য এখনো প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত আছে। বিভিন্ন উৎস ও দেশ থেকে কেনা বা সংগ্রহ করা এসব টিকার মেয়াদ আসছে নভেম্বরে শেষ হবে। এর মধ্যে কোনো টিকা ২১ নভেম্বর, কোনো টিকা ২৩ নভেম্বর, আবার কোনোটি ৩০ নভেম্বরের পর আর ব্যবহার করা যাবে না।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় মোট ৩০ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকারের হাতে এখনো ১ কোটি ৯৩ লাখ ডোজ টিকা মজুত আছে।
২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং ৭১ শতাংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ টিকা। অন্যদিকে মাত্র ২৩ শতাংশ নিয়েছেন বুস্টার ডোজ।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক বলেন, দেশে এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নেননি। আর ৯৪ লাখ নেননি দ্বিতীয় ডোজ। আর এখনো বুস্টার ডোজ নেননি সাড়ে ৬ কোটি মানুষ।
শামসুল হক বলেন, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু মানুষের গড়িমসি রয়েছে। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে এটি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তাই নভেম্বরের পর আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া না হলেও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ৭৫ লাখ বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সারাদেশে বুস্টার ডোজ দিবস পালন করে সরকার। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নেন ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩ জন। এর মধ্যে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪১০ জন পুরুষ এবং ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৩ নারী বুস্টার ডোজ টিকা নেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী আগস্টে ৫ থেকে ১১ বছর বসয়সীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে টিকা পাবে ৪ কোটি ২০ লাখ শিশু।