মানারাতের বোর্ড পরিবর্তন কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আগের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল হক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পুনর্গঠিত ১৩ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামকে। এতে আগের কমিটির সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কেবল পদাধিকার বলে উপাচার্যকে রাখা হয়েছে।
এতদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। পরে তিনি এলডিপিতে যোগ দেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় জড়িতদের কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন নতুন ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সাবেক অর্থ ও বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (আইইবি) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার (পপি) এবং সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিহির কান্তি ঘোষাল। এ ছাড়া পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যও এই বোর্ডে আছেন।
মানারাতের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৬ (১০) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করায় এই আইনের ৩৫ (৭) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছেন।