শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ফিরেছেন এক লাখের বেশি বিনিয়োগকারী
চলতি বছরের প্রথম থেকেই শেয়ারবাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মন্দাভাব আরও ঘনীভূত হয়। যা গত জুলাই মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফা ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর ৩১ জুলাই থেকে ছন্দে ফিরতে থাকে দেশের উভয় শেয়ারবাজার।
টানা মন্দা প্রবণতা থেকে উত্থান প্রবণতায় মোড় নেওয়ায় শেয়ারবাজারে অলস বিনিয়োগকারীরা, যাদের বেনিশিফিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে কোনো শেয়ার ছিল না, তারা ফিরতে শুরু করেন। যার কারণে গত আড়াই মাসে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি শূন্য শেয়ারের বিও হিসাবধারী শেয়ার কিনেছেন। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সিডিবিএল বলছে, জুলাই মাসের ১০ তারিখে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫০২টি। আর অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টিতে। অর্থাৎ এই সময়ে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব ১ লাখ ১০ হাজার ৭১০টি কমেছে।
এদিকে জুলাই মাসের ১০ তারিখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ২০ লাখ ২৯ হাজার ০০৮টি। আর অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৬টিতে। অর্থাৎ এই তিন মাসে শেয়ারবাজার থেকে বিও কমেছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৭২টি।
এছাড়া শেয়ারবাজারের মোট ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৬টি বিও হিসাবের মধ্যে অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে শেয়ার রয়েছে এমন বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ০৩ হাজার ২৩৪টিতে।
আর জুলাই মাসের ১০ তারিখে শেয়ার রয়েছে এমন বিও হিসাব ছিল ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯৮টি। অর্থাৎ এই তিন মাসের ব্যবধানে ৩৪ হাজার ৪৬৪ বিও হিসাবধারী শেয়ার বিক্রি করে তাদের বিও হিসাব শেয়ারশূন্য করেছেন।
অপরদিকে অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বিও হিসাব খোলার পর তাতে শেয়ার ক্রয় করেনি এমন হিসাব দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৮১০টিতে। আর জুলাই মাসের ১০ তারিখ অব্যবহৃত বিও হিসাব ছিল ১ লাখ ০৬ হাজার ৫২৫টি। অর্থাৎ এই তিন মাসে অব্যবহৃত বিও হিসাব কমেছে ৩৩ হাজার ৭১৫টি।