ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে স্ত্রীর করা মামলায় ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ আবেদন করেন।
এদিন আল আমিনের লিখিত জবাব দাখিলের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আল আমিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন দাখিল করেন। তবে দুই সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান।
এরপর তার আইনজীবী আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এ বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলা গ্রহণ করেন। এরপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ইসরাত জাহান ও আল আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে।
বেশ কিছুদিন ধরে আল আমিন স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না। গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।
যৌতুক দিকে অস্বীকার করলে আল আমিন স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং সংসার করবেন না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ক্রিকেটার আল আমিন ও তার স্ত্রী।
স্ত্রী মামলায় জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল আমিন
এরপর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত বলে অভিযোগ করে এ সিদ্ধান্ত জানান আল আমিন।
ক্রিকেটার আল আমিন ও তার স্ত্রী।
স্ত্রীকে ক্রিকেটার আল আমিনের তালাক
মামলায় আরও বলা হয়, আল আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর ধরে আসামি বাদীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন।
জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা আল আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান।