চীনকে সুদহার কমানো ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব
চীনকে উচ্চ সুদের ঋণগুলোর সুদহার কমানো ও ঋণ পরিশোধে রেয়াতকাল বা সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। এসময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।উপদেষ্টা বলেন, আমরা উচ্চ ঋণের সুদহার কমানোর জন্য বলেছি চীনকে। পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্যও বলেছি। এই প্রস্তাব তারা বেইজিংয়ে জানাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে আমাদেরকে জানাবে বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।তিনি বলেন, আমাদের দুই অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা যা শুরু করেছি, অর্থনৈতিক যে বিষয়গুলো আমরা কন্টিনিউ করব। তাদের যে প্রকল্পগুলো সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। তাদের কাছে অনুরোধ করেছি তোমরা তোমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট, আর্থিক সাপোর্ট কন্টিনিউ করবে। তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে তারা সাধারণত যতোটুকু করে তার চেয়ে বেশি করবে। তাদের কিছু কিছু বিষয় থাকতে পারে, আমরা দ্রুত সেগুলো চিহ্নিত করব। আমরা সময় নেব না। তারা বলছে এরআগে অনেক সময় ফেলে রাখত। আমরা বলেছি এটা দেখব। ভবিষ্যতে যে টাকা আসবে তা যেন মানুষের কল্যাণে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হয়। সময়মতো যেন ব্যবহার হয় এবং কোয়ালিটি কোনোভাবে ব্যাহত না হয়।উপদেষ্টা আরও বলেন, সমস্যা আছে। আগের সরকার কিছু সমস্যা তৈরি করে দিয়েছে। অনেক প্রকল্প না নিলেও চলত, আমাদের ওপর ঋণের বোঝা পড়েছে। এগুলো দুঃখজনক ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করব যথাসম্ভব সাহায্য করতে। আমরা এসব সমস্যা নিয়ে সতর্ক আছি, যেগুলো তারা তৈরি করে গেছে।তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে কিছু ইস্যু আছে, কানাডার সঙ্গে কিছু ইস্যু আছে। এগুলোর আলোচনা খুব বিস্তারিত করিনি। অন্যান্য অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে।উচ্চহারে সুদের বিনিময়ে চীন থেকে নেওয়া ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, রেট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি, সে বলেছে দেখবে। রিপেমেন্ট পিরিয়ড আরো ১০ বছর বাড়ানোর জন্য বলেছি।আওয়ামী লীগ সরকার ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রেখে গেছে, সেটি কীভাবে কমাবেন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ওটা বড় প্রেসার, প্রচণ্ড প্রেসার। কারণ এগুলো দিয়েছে ওরা চুক্তি করে। ডোনারদেরকে বলতে হবে এটি বিরাট প্রেসার। আমরা এগুলো রিভিউ করছি, দেখছি। আমরা এটি নিয়ে সতর্ক আছি। আমাদের নিজেদের মধ্যেও এটি নিয়ে কথা হচ্ছে। এতো বড় ঋণের বোঝা নিয়ে শুরু করেছি, আমাদের জন্য খুব কঠিন। আমরা ঋণ নিয়ে ফেরতের বিষয় আছে। এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।উচ্চহারে সুদের বিনিময়ে চীন থেকে নেওয়া ঋণের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, রেট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন এটি যতো কমানো যায় এবং রিপেমেন্ট পিরিয়ডটা যেন বাড়ানো যায়। তারা সম্মত হয়েছে যে তারা বেইজিং হেডকোয়ার্টারে আমাদের কনসার্নটা পৌঁছে দেবে এবং তারা শিগগিরই আমাদের জানাবে।