ইসলামবাংলাদেশসর্বশেষ সংবাদ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস

 অত্যন্ত মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ রোববার সারা দেশে উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।

শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) একটি বিশেষ মর্যাদার দিন।

পবিত্র এই দিনটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জশনে জুলুস বের করা হচ্ছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারির নেতৃত্বে জশনে জুলুস বের করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়া। এ শোভাযাত্রায় হাজারো মুসলমান অংশ নেন। চট্টগ্রামেও বের হয় জশনে জুলুস।

দিনটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা রাখেন। তাঁরা বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন।

পবিত্র দিনটি উপলক্ষে মিলাদ ও রাসুল (সা.)-এর জীবনী নিয়ে আলোচনার আয়োজন রয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমে ইসলামি বইমেলাসহ পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান গতকাল শনিবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে এর উদ্বোধন করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান। ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।

পুরো আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে রাসুল (সা.)-কে সম্মান জানিয়ে রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে সম্বোধন করেছেন মহান আল্লাহ। বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্‌গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।

ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.)-এর ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।

Al Amin Hussain

Hello friend, I am (Al Amin Hussain) I am the owner of [Silent Force Team], Unauthorized use of content on this site is illegal, Do not upload site content without my permission. Thanks everyone

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button