বাদশাহ আবদুল্লাহ আন্তর্জাতিক অনুবাদ পুরস্কারের মনোনয়ন শুরু
বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক অনুবাদ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন শুরু হয়েছে। ১১তম এ পুরস্কারের মনোনয়ন গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। সৌদি বার্তা সংস্থা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। পুরস্কারের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট জানায়, ছয় বিভাগে অনুবাদ পুরস্কারের মনোনীত কাজ জমা দেওয়া যাবে।
তা হলো—সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় অনুবাদ পুরস্কার, মানববিজ্ঞান বিষয়ে অন্য ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ, মানববিজ্ঞান বিষয়ে আরবি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ে আরবি থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে অনুবাদ।
http://translationaward.kapl.org.sa/home/indexen থেকে মনোনয়নের শর্তাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে গত ১৩-১৪ অক্টোবর মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুবাদ পুরস্কারের দশম পর্বের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দেন কমিটির মহাসচিব ডক্টর সাঈদ বিন ফায়েজ আল-সাইদ। এতে ১৮টি দেশ থেকে মনোনীত অনুবাদকর্মের মধ্যে বাছাই করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কর্তৃক অনুবাদ শাখায় যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হয় ওবাইকান এবং আল-আরাবি নামের দুটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান শাখায় আরবিতে অনুবাদের জন্য সৌদির লায়লা আল-বাবসেল এবং সিরিয়ার ড. সাওসান হাসান আল-সাওয়াফকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা পল ডেভিডভিটজের জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ে লিখিত পদার্থবিজ্ঞানের একটি বই ইংরেজি থেকে আরবিতে অনুবাদ করেছেন। কার্বন ক্যাপচার বিষয়ক বই ইংরেজি থেকে সৌদির ড. আবদুল লতিফ আল-শুহাইল এবং মিসরের ড. ইয়াহিয়া খলিফকে পুরস্কার দেওয়া হয়। মানবিক শাখায় ফ্রেঞ্চ থেকে বিয়ন্ড ন্যাচার অ্যান্ড কালচার বইটি অনুবাদের জন্য মরক্কোর ড. ইজ্জুদ্দিন আল-কাতাবি এবং ইনট্রোডাকশন টু দ্য মাইনিং অব সোশ্যাল সায়েন্সেস ডেটা বইটি ইংরেজি থেকে অনুবাদের জন্য ড. আবদুল নুর খারাকিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে অনুবাদ বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয় সৌদির ড. হামজাহ বিন কাবলান আল-মুজিনি, উজবেকিস্তানের ড. মুরতাজা সাইয়িদ আমরুফ ও মিসরের ড. সামির মাসউদ জারিসকে।
২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর আরবি থেকে কিংবা অন্য ভাষা থেকে আরবিতে অনুবাদের জন্য বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক অনুবাদ পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশ্বের অন্যান্য ভাষা ও জাতির সঙ্গে আরবি ভাষাভাষী জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক সংলাপ ও জ্ঞানগত সংযোগ তৈরি করাই পুরস্কার কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে পুরস্কারের ৯টি পর্ব রিয়াদ, বেইজিং, টলেডো, সাও পাওলো, জেনেভা, প্যারিস, কাসাব্লাঙ্কা, বার্লিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬০টি দেশের অংশগ্রহণে ৪১টি ভাষায় প্রায় এক হাজার পাঁচ শটি অনুবাদ কর্ম মনোনয়ন পায়। এর মধ্যে ১২৩ জন বিজয়ী হয়েছেন।
সূত্র : আল-আরাবিয়াহ