শিক্ষা-চাকরি

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ইচ্ছেমতো কাজ করার অনুমতি দিল কানাডা

 

কানাডার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে দিয়েছে সরকার। বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখন তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারবে।

কানাডার স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রী শন ফ্রেশার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে।

এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারতো। এখন আর সেই বিধি নিষেধ থাকছে না। তারা যতো ঘণ্টা খুশি কাজ করতে পারবে।

ইমিগ্রেশন মন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন খাতে কর্মী সংকটা কাটানোর পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডীয়ান অভিজ্ঞতার সুযোগ দেবে।

উল্লেখ্য, উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে বর্তমানে ১০ লাখ চাকরির সুযোগ রয়েছে! একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে লেবার ফোর্স সার্ভের একটি সমীক্ষায় কানাডায় বর্তমানে নিম্ন বেকারত্বের হারের সাথে উচ্চহারে কর্মসংস্থান খালি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কানাডার বিভিন্ন সেক্টরে ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতির বিষয়টি তুলে আরও বলা হয়েছে, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে আমন্ত্রণ জানাতে দেশটি বাধ্য হবে।

শুধুমাত্র ২০২২ সালেই কানাডায় ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ লাখ ৫০ হাজার।

অন্যদিকে উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ কানাডা। আর তাই উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বর্তমানে অভিবাসীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।

কানাডার “নতুন দেশ” পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যতো খুশি কাজ করার সুযোগ দেয়ার এই সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। কানাডায় পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিদেশি শিক্ষার্থীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপ্লুত। কেননা নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাই কেবল হবে না, কানাডীয়ান কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনেরও সুযোগ তৈরি করবে, যেটি পরবর্তীতে তাদের কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, কানাডা তার ইমিগ্রেশন নীতিমালাকে বিদেশি শিক্ষার্থীবান্ধব করছে এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিবাসীর চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে। ইচ্ছেমতো কাজের সুযোগ তারই অংশ। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এতে নিঃসন্দেহে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।

Al Amin Hussain

Hello friend, I am (Al Amin Hussain) I am the owner of [Silent Force Team], Unauthorized use of content on this site is illegal, Do not upload site content without my permission. Thanks everyone

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button